এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, শেখ হাসিনা ফেরাউনের উত্তরসূরি, ফেরাউনের বংশধর। ফেরাউনের যে চরিত্র, শেখ হাসিনা ও তার দলের মধ্যে চরিত্রের কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার নিজ দেশের মানুষের ওপর এভাবে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সবশেষ হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করা হয়েছে নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোবরাতলায় গণহত্যা, দুর্নীতিবাদ, গণতন্ত্রের শত্রুদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার ও যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপের দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোবরাতলা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে সদর উপজেলার মহিপুর হাট মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এমপি হারুন আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের আগে দেশের র্যাব, পুলিশ শেখ হাসিনার নির্দেশে নিরস্ত্র নিরীহ নারী শিশু কিশোরদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৪০০ মানুষ নিহত ও ৩০ হাজার আহত হয়েছে। চোখ, হাত, পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এই বড় একটি বিল্পবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে।’
বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ যখন রাস্তায় নেমেছে, তখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। তার সাথে এমপি, মন্ত্রীসহ সকল দোসররা পালিয়েছে। ৫ আগস্ট গণভবনে মানুষ যেভাবে প্রবেশ করেছিল, তাতে শেখ হাসিনা আর অল্প কিছুক্ষণ দেরি করতো, তাহলে শেখ হাসিনার লাশ খুঁজে পাওয়া যেত না। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে হয়ত নিজে বেঁচে গেছে, কিন্তু পালিয়ে গিয়ে আ.লীগের কবর রচনা করে গেছে। আওয়ামী লীগ হারিয়ে গেছে, তাদের দোসররাও এখন জনগণের সামনে আসতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি, দেশকে এখনও অস্থির করার চেষ্টা চলছে। শুধুমাত্র শেখ হাসিনার বিচার করলেই হবে না। তার নির্দেশে যারা গুম খুন হত্যা অপহরণ করেছে, আমরা তাদেরও বিচার চাই। গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে যেসব মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা আইন হাতে তুলব না। কিন্তু যারা অন্যায় অপরাধ করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনব। বর্তমানে দেশের চলমান সংকট নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন প্রদানের দাবি জানান তিনি।
গোবরাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদিউজ্জামান সাদি মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক তসিকুল ইসলাম তসি, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ, সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মো. তাসেম আলী। সমাবেশে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।