এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বড় অংশ একটা একাডেমিক ফলাফল ভালো করেন না। আবার অনেকেই ছাত্রত্বও শেষ করতে পারে না— এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক।
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল-আমিন। মেধাবী এই শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষ থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও তার একাডেমি ফলাফল ঈর্ষণীয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থীর অনার্সে সিজিপিএ ৩.৫৭ এবং মাস্টার্সে ৪.০০। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে একাডেমি ফলাফলের এই ঈর্ষণীয়তার জন্য তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন নেটিজেনদের।
জানা যায়, প্রথম বর্ষ থেকে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হলে। শুরু থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল তার। তবে তৃতীয় বর্ষের শুরুতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হল ছেড়ে উঠেন মেসে।
জানতে চাইলে মো. আল-আমিন বলেন, তৃতীয় বর্ষের শুরুতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আমরা তিনজন একসঙ্গে হল ছেড়েছিলাম। এরপর মেসে উঠলেও ছাত্রদলের কোনো প্রোগ্রাম মিস দিতাম না।
মাস্টার্সে সিজিপিএ চার-এর মধ্যে ৪.০০ ফল করা কীভাবে সম্ভব, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাইনাল পরীক্ষার আগে ৩-৪ দিন করে গ্যাপ থাকতো, তখন ভালো করে প্রস্তুতি নিতাম। তাছাড়া বিভাগের একাডেমিক পড়াশোনা টপিকগুলো ভালো আয়ত্তে থাকতো, তাই ফল ভালো করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৮ সালের পর আল-আমিন রাজনীতি ছেড়ে চাকরির দিকে মনোযোগ দেন। বর্তমানে তিনি সরকারের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। রাজনীতি ছেড়ে চাকরির দিকে মনোযোগ কেন, জানতে চাইলে মো. আল-আমিন বলেন, পড়াশোনা শেষে কেউ রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়বে, কেউবা চাকরির দিকে। ২০১৮ সালের পর আমি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সরকারি অনেক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে মনোনীতও হয়েছি।
একাডেমি ফলাফলের এই ঈর্ষণীয়তার জন্য নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা। জাকির হোসেন বিপ্লব নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই যে আমাদের ছাত্রদলের মেধাবী। মো. আল-আমিন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হল ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। হলে না থেকে, মামলা হামলা সহ্য করে, দলীয় প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকেও ঢাবি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্সে সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে সে ৪.০০ পেয়েছে। সর্বাধিক মেধাবীরাই ছাত্রদলে ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।