শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০৭:৫৮

জানেন এবার আরও কত কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত?

জানেন এবার আরও কত কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাজারে সরবরাহ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ অক্টোবর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। কিন্তু ডিম এসেছে সামান্যই। টানা চার দিন সরকারি ছুটি থাকায় আমদানিপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ডিম আমদানি খুব বেশি হয়নি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ওই ডিম আমদানি হলে বাজারে কমতে পারে দাম বলে ধারণা করছেন আমদানিকারকরা।

এ অবস্থায় সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য আরো সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই দফায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়।
সম্প্রতি বাজারে ডিমের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে।

একপর্যায়ে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। যদিও গত বুধবার কিছুটা কমে ঢাকার বড় বাজারগুলোয় প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা ও পাড়া-মহল্লায় ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।

এদিকে জরিমানার ভয়ে গত রবি ও সোমবার ডিম বিক্রি বন্ধ রাখেন রাজধানীর তেজগাঁওসহ একাধিক আড়তের ব্যবসায়ীরা। পরে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আড়তে ডিম বিক্রি শুরু হয়। এতে গত বুধবার বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

ডিমের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পণ্যটি আমদানিতে সাময়িক সময়ের জন্য শুল্ককর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এই দফায় ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুমুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। 

দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। 
তৃতীয়ত, ডিম আমদানির প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। 

চতুর্থত, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরে সাত দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। এর আগে গত মাসেও এক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে