এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বছর না ঘুরতেই আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগের ১২০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা। বাজারে আগাম পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বলে অজুহাত ব্যবসায়ীদের। আর আমদানির পেঁয়াজের বেলায় ডলারের দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলছে বলে দাবি আমদানিকারকদের। বলছেন, ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তাদের।
বাজারে আরেক দফা বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। কয়েক মাসে দাম স্থির থাকলেও হঠাৎ লাফিয়ে বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, সরকারি নজরদারি না থাকাই বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান, তারা ভেবেছেন কারওয়ান বাজারে দাম কম পাবো পেঁয়াজের। কিন্তু এখানেই ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার যদি তাদের দায়িত্বমত দর নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে গরীব মানুষ সুফল পাবে।
অতিবৃষ্টির কারণে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন পেঁয়াজ এলে দাম কমে যাবে। দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি কিন্তু হাটে আমদানি কম।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে বলে জানান আমদানিকারকরা। নতুন পেঁয়াজ বন্দর পর্যন্ত আসতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই বাধ্য হয়ে পুরাতন পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের।
মেসারস রাব্বি ট্রেডারসের আমদানিকারক রেজাউল করিম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে ৫-৬ দিন লাগে পোর্ট আসতে। এ কারণে এগুলো নষ্ট হয়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, এলসির সময় ডলারের যে রেট হয় বিল ছাড়ের সময় তখন টাকা বেশি লাগে। এ জন্য বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কমছে না।
আগাম আমদানি করা গেলে পেঁয়াজের সংকট হতো না বলে জানান কৃষি অর্থনীতিবিদ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, দশ লাখ টন পেঁয়াজ যদি আগাম আমদানি করা যেতো তাহলে বাজারে যে সরবরাহ সংকট আছে এটি হতো না। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব হয়নি।
টিসিবি হিসাবে, গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।