এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোরে যুবদল ও বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় যুবদল ও জেলা বিএনপি পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর মধ্যে নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে যশোর জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনিকে বহিষ্কার করা হয়।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দফতর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেলের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া কেশবপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুবদল সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাকে নিয়ে তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে পোস্ট করতেন। সম্প্রতি জনি জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদকতে ইঙ্গিত করে ৫ আগস্ট রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকাতে তারা সম্পদ গড়েছেন এমন পোস্ট করেন। যদিও নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে জনি পোস্টটি ডিলিট করেন।
এছাড়া রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনীতিক প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় যুবদল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ বিষয়ে যুবদল নেতা জনির মোবাইলফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মঙ্গলবার রাতে জনি তার ফেসবুক পেজে আলহামদুলিল্লাহ লিখে পোস্ট করেন।
এদিকে, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ভান্ডরখোলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই কাউকে ছাড় নেই। কেন্দ্রীয় নির্দেশনাই রয়েছে বিএনপির অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কোনো ব্যক্তি যদি এমন ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করে তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন।’