এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় যে তিনজন ডাকাতি করতে আসে তাদের দুজন কিশোর এবং একজন তরুণ। এই তিনজনের একজনের বয়স ২২, অন্য দুজনের বয়স ১৬।
আটক তিন ডাকাত বলেছে, মৃত্যুপথযাত্রী একজন রোগীকে (কিডনি রোগী) বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতি করতে আসে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকায় রূপালী ব্যাংক পিএলসির জিনজিরা শাখায় কিছু দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ব্যাংকে কর্মরত ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকসহ মোট ১৬ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে তারা ব্যাংকের কাউন্টার থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা লুট করে একটি ব্যাগে গচ্ছিত রাখেন। একই সঙ্গে আরও তিন লাখ টাকা তিনজনের প্যান্টের পকেটে রাখেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘একপর্যায়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের (৯৯৯) মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। এ সময় তাঁদের দাবি করা ১৫ লাখ টাকা ও তাঁদের নিরাপদ স্থানে যেতে সহযোগিতা করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর তাঁরা আত্মসমপর্ণ করতে রাজি হন। পরে তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হেফাজতে নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসেন।’
এসপি আহম্মদ মুঈদ আরও বলেন, ‘ডাকাতরা মুভি দেখে এমন একটি অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে ডাকাতি করতে আসে বলে আমাদের মনে হয়েছে। যদিও তারা আমাদের কাছে বলেছে, মৃত্যুপথযাত্রী একজন কিডনি রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতি করতে আসে তারা। তবে তারা যে রোগীর ঠিকানা দিয়েছে সেটি যাচাই-বাছাই চলছে। আদৌ সত্য কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ওই কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে নাকি তাদের ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল। এ কারণে তারা ব্যাংকে ডাকাতি করতে যায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। বাকি তিন লাখ টাকা দিয়ে আইফোন কেনার কথা জানায় তারা।’
আটক তিন ডাকাত ছাড়া বাইরে তাদের কোনো সদস্য ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের তিনজন ছাড়া বাইরে কেউ ছিল না। তবে তারা প্রাথমিকভাবে আমাদের বলেছিলেন বাইরে তাদের লোক আছে। তারা পুলিশকে ভয় দেখানোর জন্য বলেছিলেন তাদের আরও লোক আছে।’