এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ওপর রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইনের নিরাপদ অঞ্চলে প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও টেক্সটাইল আমদানি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে ড. ইউনূস জানান, তিনি আশা করছেন রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারির শুরুর মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছাবে। এ পর্যন্ত কোনো ভিন্নমত শুনিনি। তবে এই রাজনৈতিক প্রচেষ্টাকে ‘কঠিন’ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার কেবল একটি সহযোগীর ভূমিকা পালন করবে। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে সম্মত হলে সরকার তাদের একটি জুলাই চার্টারে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিছু সাংবাদিকের গ্রেপ্তার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জানান, তার সরকার দেশে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের মূল্য দেয়। এ ধারণা থেকেই সার্ক গঠিত হয়েছিল এবং আমরা এ সংস্থার উদ্ভাবক। সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করতে সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ অঞ্চলে প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চান।