এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজারে এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকেল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে তারা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন– উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৩৫) ও তার বাবা মো. জিন্নাহ (৬০), নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মো. রুবেল (২৬), নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাহানি হোসেন সুজন (৩০), শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫), বিএনপি নেতা আজগর আলী (৬৫), ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল (২৫), শুভ (২২) ও জুয়েল রানা (২০)।
অপরপক্ষের আহতরা হলেন– ছাত্রদল নেতা হৃদয় (২৫), উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. সানা উল্লাহ (৫৫), নাসিম (২৭), ডা. মো. সাইদুল ইসলাম (৫৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম (৫২)। এদের মধ্যে হৃদয়, রুবেল ও জিন্নাহকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান স্থানীয় কয়েন বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য একটি দোকান ভাড়া নেন। এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে রোববার বিকেলে কয়েন বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। পরে ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।