এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আগামী জাতীয় নির্বাচনের পিরোজপুরের তিনটি সংসদীয় আসনের দুটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হচ্ছেন দলটির সাবেক নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী। অপর আসনে প্রার্থী হচ্ছেন দলটির মঠবাড়িয়া উপজেলা আমির অধ্যাপক শরিফ আব্দুল জলিল।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে আল্লামা সাঈদীর সেজ ছেলে মাসুদ সাঈদী ও পিরোজপুর-২ আসন থেকে তার মেজ ছেলে শামীম সাঈদী নির্বাচন করবেন। অপরদিকে পিরোজপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক শরিফ আব্দুল জলিলকে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ভান্ডারিয়া ইসলামি ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিমিয় সভায় পিরোজপুর জেলার ৩টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
প্রার্থীতার বিষয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাদের দুই ভাইকে পিরোজপুরের দুটি আসনে প্রার্থী মনোনীত করে আমাদের ওপর যে মহান দায়িত্ব অর্পন করেছে তা আমানতদারিতার সাথে পালন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর দয়া ও জনগনের ভালবাসা নিয়েই আমরা আমাদের পথ চলব। আমাদের পিতা শহীদ আল্লামা সাঈদী যেভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করে গেছেন আমরাও তেমনি পিতার মত জনগনের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “পিরোজপুরকে মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতি মুক্ত করে একটি উন্নত বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। সর্বস্তরে জবাবদিহি মূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাই। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধশালী একটি রাষ্ট গড়ার চেতনায় আমরা তরুনদের সাথে নিয়ে কাজ করব। স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের জন্য তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই হবে আমাদের লক্ষ্য।
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, “এই পিরোজপুরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্টসহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড যা কিছু দৃশ্যমান তার নব্বই ভাগই আমার শহীদ পিতা আল্লামা সাঈদীর হাতে গড়া। তার পরে এই আসনে অনেকেই সংসদ সদস্য ছিলেন।
কিন্তু এই এলাকার মানুষ স্বাক্ষী এলাকার উন্নয়নে তারা তেমন কোনো কাজই করেননি। সবচেয়ে বড় কথা সাধারণ মানুষ তাদের কাছে পৌঁছতেই পারেননি। আমরা এই জায়গাটিতে পরিবর্তন আনতে চাই। আল্লাহ তায়ালার দয়ায় আমরা দুই ভাই নির্বাচিত হলে সর্বস্তরের মানুষের কথা শুনার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকব, সুখে-দুঃখে সবসময় তাদের পাশেই থাকব, এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।”