এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যসহ বিভিন্ন ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
ফখরুল জানান, সম্প্রতি দেশব্যাপী যে অস্থিরতা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তা ফ্যাসিবাদকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে বলে তারা মনে করেন।
তিনি জানান, তারা আবারও দ্রুত নির্বাচনের তাগাদা দিয়েছেন। ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছেন। তারা প্রত্যাশা করছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে এ ধরনের আশ্বাস পাওয়ার ইঙ্গিতও দেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, আমরা আরও বলেছি, প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন থেকে তাদের বাদ দিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছর যারা দেশে অর্থনৈতিকভাবে লুটপাট চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে বলেছি। তাদের পাচার কথা অর্থ ফিরিয়ে আনতে বলেছি।
এ সময় তিনি জানান, আওয়ামী লীগ আমলে রাজনৈতিক যে মিথ্যা মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের কথা তারা বলেছেন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে জোরালোভাবে বলেছি। সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তারা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কাজ করছেন।
দেশব্যাপী চলমান ডেভিল হান্টে যেন কোনো নিরপরাধ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল জানান, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও তিনজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান।
আর বিএনপির প্রতিনিধি দলে মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য। তারা হলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং সালাহ উদ্দিন আহমেদ।