বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:৫৫:২০

আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাই সমর্থন করব না: মির্জা ফখরুল

আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাই সমর্থন করব না: মির্জা ফখরুল

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের বিরোধিতা করে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাই সমর্থন করব না। কারণ মানুষ এতে অভ্যস্ত না। এ নিয়ে প্রশ্নই উঠতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা চাই না। যদি হয় তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশটাকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাবে। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশের পরিস্থিতি সহজ হবে।

বিএনপি বিরোধিতা করলেও আনুপাতিক হারে নির্বাচন ব্যবস্থা চায় জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত।

দলটির চাওয়া নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটার সঙ্গেও আমরা একমত নই। এগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই রাজনীতি সহজ হবে। বাংলাদেশের মানুষ একটা স্থিতিশীলতার মধ্যে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আয়নাঘরের পরিদর্শন বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই বিষয়টাকে ভিন্নভাবে দেখি। গুম করা, হত্যা করা এটাতে কোনো দলের কথা আমি বলতে চাই না। এখানে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে গুম করা হয়েছে। এই কথাগুলো আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। যখন আলজাজিরায় প্রথম রিপোর্ট করা হয়, তখনো সরকার সম্পূর্ণভাবে এটিকে ডিনাই করেছে। কিন্তু প্রথম থেকেই এইভাবে চলে আসছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি যে, সত্য ঘটনাই উদ্‌ঘাটন হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে—জাতিসংঘ যখন বলে তখন আমরা বিশ্বাস করি; যখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলো বলি, অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। আমরা ধন্যবাদ জানাব যে, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কমিটি এসেছেন, তারা রিপোর্টটা সঠিকভাবে করেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই এসব ঘটনা হয়েছে। যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার নির্দেশেই হয়েছে। যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, তার নির্দেশেই হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, ইনস্টিটিউশনগুলো ধ্বংস করে দেওয়া; এসব তার নির্দেশেই হয়েছে। এককথায় সেগুলো রিপোর্টে উঠে এসেছে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট, তিনি গণহত্যা করেছেন, মানুষের ওপর নির্যাতন করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকে চাইব ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে ফেরত দেবে। তাকে এবং তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে