শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১১:৫২:৫০

সংঘর্ষের ঘটনা, বিএনপি নেতার মৃত্যু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ

সংঘর্ষের ঘটনা, বিএনপি নেতার মৃত্যু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাগেরহাটের কচুয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

 নিহত শওকত হোসেন কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের ইমান উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দেপাড়া বাজার এলাকায় নিজ দলের দুপক্ষের সংঘর্ষে শওকত হোসেন গুরুত্বর আহত হন। এ সময় ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও নিহতের ভাই মো. লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন। তখন শওকতকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।

এদিকে বিএনপির এই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেপাড়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও নিহতের স্বজনরা। এ ছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিপক্ষ আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত সেখানে পৌছে হায়দারকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আতঙ্কে বেশির ভাগ দোকান পাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পরে দেপাড়া বাজার থেকে সদর থানা পুলিশ বিএনপির আরও দুজনকে আটক করে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

নিহত বিএনপি শওকাত হোসেনের ভাই বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেনের বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করে। ৯ দিন চিকিৎসার পর আমার ভাই মারা গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কচুয়া, বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ আরও দুজনকে আটক করেছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত জানানো হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে