এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্বর্ণবাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরি ১০০০ টাকা বেড়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি কেন হচ্ছে?
সোনার মূল্যবৃদ্ধির পিছনে মূলত কয়েকটি কারণ রয়েছে:
আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বৃদ্ধি: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণে বিনিয়োগ করছে।
ডলারের বিনিময় হার পরিবর্তন: ডলারের মূল্য কমলে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।
সরবরাহ সংকট: খনি থেকে স্বর্ণ উত্তোলনে জটিলতা তৈরি হলে বাজারে সরবরাহ কমে যায়।
বর্তমান সোনার মূল্য (বাংলাদেশ ও ভারত)
বাংলাদেশ:
২২ ক্যারেট: ১,১০,০০০ টাকা/ভরি
২১ ক্যারেট: ১,০৫,০০০ টাকা/ভরি
১৮ ক্যারেট: ৯০,০০০ টাকা/ভরি
ভারত:
২২ ক্যারেট: ৫৮,০০০ রুপি/১০ গ্রাম
২৪ ক্যারেট: ৬৩,০০০ রুপি/১০ গ্রাম
স্বর্ণ কেনার সঠিক সময় কোনটি?
উত্তর: যখন বাজারে দাম নিম্নমুখী থাকে এবং ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকে। বিস্তারিত: বিশ্লেষকদের মতে, বিয়ের মৌসুম ও উৎসবের সময় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়, তাই কম দামের সময় কেনা ভালো। উদাহরণ: ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে স্বর্ণের দাম কম থাকায় অনেকে কিনেছেন এবং পরে লাভ পেয়েছেন।
২২ ক্যারেট বনাম ২৪ ক্যারেট সোনা: কোনটি ভালো?
উত্তর: ২২ ক্যারেট বেশি টেকসই এবং অলঙ্কার তৈরির জন্য উপযুক্ত। বিস্তারিত: ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ খাঁটি হলেও এটি নরম হওয়ায় অলঙ্কারে কম ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ: বাংলাদেশে বেশিরভাগ গহনার জন্য ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়।
আজকের বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ কতটা লাভজনক?
উত্তর: সোনা দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক বিনিয়োগ। বিস্তারিত: স্বর্ণের দাম সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে বৃদ্ধি পায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ বিকল্প। উদাহরণ: ২০১৫ সালে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ৫০,০০০ টাকা/ভরি, যা এখন দ্বিগুণের বেশি।