এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘ও অনেক ডাকাইত। ও আমারে অনেক আঘাত দিছে। অনেক শাস্তি দিছে আমারে। ওর একটু মায়াও লাগে না। ও খালি পিডে আমারে।’–এভাবেই নিজের ওপর বয়ে যাওয়া মামা ও মামির পৈশাচিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন ১৬ বছরের কিশোরী রোজিনা।
শুক্রবার (৭ মার্চ) হাসপাতালের বেডে শুয়ে সময় সংবাদকে নির্যাতনের বর্ণনা দেয় কিশোরী রোজিনা।
রোজিনা জানায়, ‘ঢাকায় আমার বোনের কাছে আছিলাম। আমার বোনের কাছ থেকে নিয়া আমারে কয় পার্লারে কাজ দিবো। হেই কথা কইয়া আইনা আমারে খারাপ কাজ করাইছে। অনেক অত্যাচার করছে।’
সে আর বলে, ‘আমার মামা আমারে ধরে না। মাথা ফাডাইয়া দিছে মামি। রক্তে টয়লেট ভইরা গেছে। আমারে হুইল সাবান, হুইল সাবানের গুঁড়া গোলাইয়া মগ ভইরা খাওয়াইছে। আমারে পুতা দিয়া, কাঠ দিয়া, বঁটি দিয়া বাইরা শেষ করছে।’
ফোঁফাতে ফোঁফাতে রোজিনা বলে, ‘আরেকটা মেয়েরে মাইরা আমারে কয় তোরে ফাঁসাই দিমু কাউরে কইলে। আমারে আটকাইয়া রাইখা দিয়া এই অবস্থা করছে শরীরের। আমারে শেষ কইরা দিছে।’
মামির শাস্তি দাবি করে সে আরও বলে, ‘ওর শাস্তি চাই। ওরে বাইর কইরেন না। ও অনেক ডাকাইত। ও আমারে অনেক আঘাত দিছে। অনেক শাস্তি দিছে আমারে। ওর একটু মায়া লাগে না। ও খালি পিডে আমারে।’
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে সন্তানদের দেখাশোনার জন্য আনা ভাগনি রোজিনাকে নির্যাতনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মামা রুবেল ও মামি রোকেয়া বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনাকে দেখতে যান পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।