বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৬:৫২

মা-বাবার সঙ্গে ইফতার করে নামাজের জন্য বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

 মা-বাবার সঙ্গে ইফতার করে নামাজের জন্য বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুমিল্লার লালমাই উপজেলার দত্তপুরে সায়মন হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পূর্ব পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সায়মন হোসেন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর মধ্যমপাড়ার আবদুল মতিনের ছোট ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে সহকারী মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করত।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সায়মন হোসেন মঙ্গলবার তার মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে ইফতার করে। ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সে মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ৮টায় স্থানীয়রা দত্তপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামস্থ রেললাইনের পাশে সায়মনের মরদেহ দেখে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তারাবির নামাজের পর লালমাই আর্মি ক্যাম্প, লালমাই থানা ও লাকসাম রেলওয়ে থানার তিনটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সুরতহাল শেষে রাত পৌনে ১১টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই ফয়সাল বলেন, আমরা পাঁচ ভাই। সায়মন সবার ছোট। দুই ভাই প্রবাসে থাকে। আমি ও সায়মনসহ তিন ভাই আজ মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে ইফতার করেছি। ইফতারের পর মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে সায়মন আমার মায়ের মোবাইল নিয়ে বাড়ি বের হয়েছিল। রাত ৮টায় লোকমারফত জানতে পারি আমার ভাইয়ের লাশ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে।

আমার ছোট ভাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। ওর কোনো শত্রু নেই। তবে শিমুল, আসিফ, রাসেল, সাব্বিরসহ ওর কয়েকজন বন্ধু আছে বলেও জানান তিনি।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন বলেন, নিহত কিশোরের মরদেহ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা আবদুল মতিন বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করেছেন। সুরতহালের সময় সায়মনের ব্যবহৃত মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে। কিশোরের মাথা, মুখসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চট্টগ্রামমুখী সুবর্না এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। তবে খুন হয়েছে কি-না, আমরা সেটা নিয়েও পুলিশ কাজ করবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে