এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপির কেন্দ্রীয় সহশিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-রামগতি-কমলনগর আসনের সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেছেন, আপনারা কোনো বিরোধ করবেন না। বিরোধ করলে হাসিনা চলে আসবে, বাংলাদেশ থাকবে না। আমরা একটা বাংলাদেশ পাইছি আবার। ৭১-এ আমরা জয়লাভ করেও জয়লাভ করতে পারিনি।
বিরোধ করলে হাসিনা চলে৭৫-এ শেখ মুজিবের পতনের পরেও আমরা পারিনাই। ৯০-তে জয়লাভ করেও পারি নাই। এই ২৪-এ এসেও যদি না পারি, জীবনেও আমরা আর পারব না। ৫ আগস্টের পরে ওসি সাব, ইউএনও সাব ও তহসিলদার সাবরা ঘুষ খায়নি? যদি খায়, তাহলে আবার কিসের ভোট?।
গতকাল শনিবার সন্ধায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশরাফ উদ্দিন নিজান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াত আর বিএনপির রক্ত একাকার হয়ে গেছে। সেটা জামায়াতও ভুলে গেছে, বিএনপিও ভূলে গেছে। এক সিমেন্টের বস্তায় ইলিয়াস আলীকে যেমন গুম করছে, তেমনি সিলেটের আরেক জামায়াতের রোকনকেও গুম করেছে।
এখন ভুলে গেছে জামায়াত, ভূলে গেছে বিএনপি। কিসের বিরোধ?। নির্বাচনে যেই জয়লাভ করবে তাকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিব। কিন্তু কোনো বিরোধ করবেন না। বিরোধ করলে এই বাংলাদেশ আর থাকবে না। হাসিনা আবার চলে আসবে।’
নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ‘আপনারা তুচ্ছ করে বলেন, ছাত্রদের দল, বিএনপি তুচ্ছ করে বলে জামায়াতের দল, জামায়াত তুচ্ছ করে বলেন বিএনপির দল। এভাবে তুচ্ছ করে বললে হাসিনা চলে আসবে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনারা ঘুষ খাবেন, ইউএনও সাব ঘুষ খাবেন, তহসিলদার সাব ঘুষ খাবেন, পুলিশ খুষ খাবেন। তাহলে মানুষ কি বসে থাকবে নাকি? মানুষ তো প্রতিবাদ করবেই। প্রতিবাদ করতে হলে তো বিরোধী দল লাগবে। বিরোধী দল হয় জামায়াত হবে, না হয় অন্যরা হবে।
কিন্তু আপনারা (বিএনপি) কি হাসিনার মত ভাই ভাই খেলতে চান? আমি আর তুমি, আমি আর জাতীয়পার্টি। অতএব এখনি সিদ্ধান্ত নিতে হবে-আপনি এমপি হলে কি করবেন? ঘুষ কিভাবে বন্ধ করবেন? আমি পাশ করলে আমাকে আপনি সাহায্য করবেন, অন্যায় করলে বিরোধীতা করবেন-এটাই তো নিয়ম। এটাই তো গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রের জন্যইতো ২৪-এ আমাদের কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষ জীবন দিয়েছে।
চরআলগী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক তানভীর আহমেদ জুয়েলের সভাপতিত্বে স্থানীয় রামদয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ইফতার মহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামগতি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার জামাল উদ্দীন, সদস্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।