এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শেরপুরে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদিত হওয়ায় দাম কমে গেছে, ফলে কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শত শত টন আলু সংরক্ষণের জন্য কৃষকরা হিমাগারের দিকে ছুটছেন। কিন্তু হিমাগারগুলো ইতোমধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ট্রাক ও ট্রলি বোঝাই করে আসা কৃষকরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। একদিকে তারা আলু ফেরত নিয়ে যেতে পারছেন না, অন্যদিকে বিক্রি করলে পড়তে হচ্ছে আরও বড় লোকসানে।
শেরপুরের নৌহাটায় বিসিক শিল্পনগরীর একটি বেসরকারি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য সারি সারি ট্রাক দিনের পর দিন অপেক্ষা করলেও সংরক্ষণের জন্য জায়গা মিলছে না। জেলার নকলায় ২ হাজার মেট্রিক টন ও সদরের ১ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার সরকারি হিমাগার ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে। এছাড়া ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একমাত্র বেসরকারি হিমাগারও প্রায় ঠাসা হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেরপুরসহ পাশের জেলা থেকে শত শত ট্রাক ও ট্রলিতে আলু নিয়ে কৃষকরা আসছেন। কিন্তু হিমাগারে জায়গা না থাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে নতুন করে আলু সংরক্ষণ সম্ভব নয়। তবে কৃষকরা হাল ছাড়তে নারাজ। বীজ নিয়ে শঙ্কা, তাই অন্তত আগামী বছরের জন্য বীজআলু সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছেন তারা।