এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চালের দাম বাড়া নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের জেরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) দেওয়া সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে আমন মৌসুমের শেষে এবং বোরো মৌসুমে শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে, এ বছর অন্তবর্তী সরকারের পদক্ষেপের কারণে নিম্নবিত্ত পরিবারের ব্যবহৃত গুটিস্বর্ণা বা মোটা চালসহ মধ্যম মানের চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তেরের যাচাইকৃত বাজার দর অনুসারে, কাওরান বাজারে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা এবং চিকন চাল ৭৮ টাকা থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। অপরদিকে, বাবু বাজারে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা এবং চিকন চাল ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেটে মধ্যম মানের চাল (ব্রি-২৮) প্রতি কেজির কেনা দাম ৫৭ টাকা ও বিক্রয় ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। নাজির শাইল চাল প্রতি কেজি কেনা দাম ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা ও বিক্রয় হচ্ছে ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা দরে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিনিকেট মূলত মেশিন প্রসেসড রাইস। ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি হাইব্রিড ধান ও কাজল লতার মতো মোটা জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল পলিশ করে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। এ ধরনের চালের মূল্য সমগ্র চালের বাজার দর প্রতিফলিত করে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্প মূল্যে চাল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রাণালয় সদা স্বচেষ্ট রয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে সরকার খাদ্য বান্ধব কমসূচি, ওএমএস, ভিজিডি, টিসিবির মাধ্যমে প্রায় ৭ লাখ টন চাল বণ্টন করবে।
এ ছাড়া আসন্ন বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন ভাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন চালের মূল্য আরও কমে আসবে। খাদ্য ঘাটতি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রেখে সরকার খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলেছে ও চালের দর যাতে স্থিতিশীল থাকে সেজন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে চাল আমদানিও অব্যাহত রেখেছে। খাদ্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। দেশে কোনো খাদ্য সংকট হবে না।