এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গত কয়েক বছর ধরে রোজায় আলু-পেঁয়াজের দাম চড়া থাকলেও এবার ছিল স্বস্তিদায়ক অবস্থায়। তবে বরাবরের মতো রমজানজুড়ে ভোক্তাদের ভোগাচ্ছে বেগুন শসা ও লেবুর দাম।
রমজানে ইফতারিতে চাহিদার শীর্ষে থাকে আলু-পেঁয়াজ ও বেগুনের তৈরি বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। এছাড়া শসা সালাদ ও লেবু অধিক ব্যবহার হয় শরবত তৈরি করতে। চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিবছরই রোজায় এসব পণ্যের দাম থাকে বেশ চড়া।
তবে এবার বেগুন, শসা ও লেবুর বাজার চড়া থাকলেও বেশ স্বস্তি দিয়েছে আলু ও পেঁয়াজের বাজার।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানজুড়ে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া মাঝে ২-৫ টাকা বাড়লেও বর্তমানে দাম কমে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছর রোজায় আলু-পেঁয়াজের দাম চড়া থাকলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে এসব পণ্যে। অন্যান্য পণ্যের দামও কমা উচিত।
এদিকে রমজানজুড়ে চড়ে থাকা শসা, লেবু ও বেগুন মাঝে কিছুটা কমলেও তা স্বস্তি দেয়নি ভোক্তাকে। বরং ওঠানামা করা দাম আরও বেশি ভুগিয়েছে ক্রেতাদের। বর্তমানে মান ও জাতভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-১২০ টাকায়। আর প্রতিকেজি শসা ও ক্ষিরাই বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫০ ও ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া গত সপ্তাহে প্রতি হালি লেবু ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটি চলতি সপ্তাহে দাম কমে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে দাম ওঠানামা করছে লেবু, শসা ও বেগুনের। যে সপ্তাহে সরবরাহ একটু বেশি হয়, তখন দাম কমে আসে। আবার সরবরাহ কমলে, দাম বেড়ে যাচ্ছে।
হাতেগোনা কয়েকটি গ্রীষ্মকালীন সবজি ছাড়া তুলনায়মূলক স্বস্তি রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দামেও। প্রতিকেজি করলা ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, শিম ২৫ টাকা ও ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকায়।