শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৪৬:৩৫

১৬০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়!

১৬০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নওগাঁতে রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যের দোকানে বিক্রি হচ্ছে দুধ, ডিম, ছোলা, তেল, মুড়িসহ বিভিন্ন সামগ্রী। তবে ঈদ ও রমজান ঘিরে সেই দোকানে গরুর মাংস কিনতেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকায়। সর্বনিম্ম ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ টাকায়। 

জানা গেছে, জেলার ১১টি উপজেলায় চালু হওয়া ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সদর উপজেলায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার এবং অন্যান্য উপজেলায় শুক্রবার করে এই দোকান থেকে গরুর মাংস কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। যেখানে একজন ক্রেতা সর্বনিম্ম ২৫০ গ্রাম এবং সর্বোচ্চ ২ কেজি মাংস কিনতে পারছেন। রমজান উপলক্ষে এ সেবা চালু হলেও ঈদুল ফিতরের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসতেই মাংসের চাহিদা বেড়ে গেছে। নির্দিষ্ট দিনে মাংস কিনতে ভিড় করছেন স্বল্প ও নিম্ম শ্রেণি পেশা আয়ের লোকজন। 

রমজান ও ঈদ ঘিরে যেন প্রতিটি মানুষই তাদের খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার পণ্য হিসেবে গরুর মাংস রাখতে পারেন সে জন্য খোলা বাজার থেকে কম দামে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার ১১টি উপজেলায় প্রশাসন ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিনা লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। এই দোকানে গরুর মাংস ছাড়াও প্রতি কেজি চিনি ১২৫ টাকা, মুড়ি ৯২ টাকা, চিড়া ভাজা ৯০ টাকা, কাঁচা ৬৮ টাকা, ছোলা ও মসুর ডাল ১০০ টাকা, প্রতি লিটার সরিষার তেল ১৮০ টাকা ও প্রতি হালি ডিম ৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। 

রাণীনগর উপজেলার চকমনু গ্রামের ভ্যান চালক হোসেন শেখ বলেন, সামনে ঈদুল ফিতর। তাই ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে কম দামে গরুর মাংস নিতে শুক্রবার ভোর থেকে অপেক্ষা শেষে দুই কেজি মাংস নিলাম। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে যদি আরও কয়েকটি গরু জবাই করা হতো তাহলে এই অঞ্চলের অনেক খেটে খাওয়া মানুষ গরুর মাংস কিনতে পারতো। এতে করে গরীব ও অসহায় মানুষরা ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্তত একবেলা মাংস খেতে পারতো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, রমজান মাসে জেলার নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে এই দোকান থেকে ন্যায্য মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির কার্যক্রম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যেহেতু এই দোকান থেকে প্রতিটি পণ্যই বিনা লাভে বিক্রি করা হয় তাই একাধিক গরু জবাই করা অনেকটাই ব্যয়বহুল। রমজান মাস শেষে খোলা বাজারে পণ্যের দাম বিবেচনা করে আগামীতে এই ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ঈদুল ফিতরের আগে আরও গরু জবাই করা যায় কিনা সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে