এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঈদের পর চাঙা হয়েছে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তগুলো। ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ এসেছে আড়তে।
সেই পেঁয়াজ রিকশা, মিনি ট্রাক, পিকআপ ও ট্রাকে করে চলে যাচ্ছে নগরের বিভিন্ন খুচরা দোকান ও উপজেলার হাটবাজারে।
নেভি হাসপাতাল গেইটের পেঁয়াজ বিক্রেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম পেঁয়াজ কিনতে আসেন মেসার্স বাচা মিয়া সওদাগর নামের আড়তে।
তিনি জানান, কুষ্টিয়া ফরিদপুরের হালি পেঁয়াজ বা সবচেয়ে ভালো দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৩ টাকা করে ৪০ বস্তা কিনেছি। প্রতি বস্তায় ৪৫-৪৮ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে। বস্তায় ২০ টাকা ধোলাই (কুলির মজুরি), কেজি প্রতি আড়তকে ৩০ পয়সা কমিশন, দোকান পর্যন্ত গাড়িভাড়া দিতে হয়েছে। খুচরায় কেজি ৪০ টাকা, তিন কেজি ১১০-১২০ টাকা বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও জানান, দেশি পেঁয়াজের মান ও সরবরাহ বেশ ভালো। কাঁচা পণ্য বেশি দিন মজুদ করার সুযোগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করি। নয়তো শুকিয়ে ওজন কমে যায়, রং মন্দা হয়ে যায়।
আয়মন ট্রেডিংয়ের ফয়সাল হোসেন ফাহাদ জানান, মেহেরপুরী পেঁয়াজ ২২-২৩ টাকা। দেশি হালি পেঁয়াজ ৩৫-৩৮ টাকা, খাশখালী পেঁয়াজ ২৬-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রিকশা-ভ্যান ও খুচরা দোকানে দেশি ছোট পেঁয়াজ ৫০ টাকা, মেহেরপুরী বড় পেঁয়াজ তিন কেজি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যৌথ পরিবারের বাজার করতে আসেন আবদুল করিম। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারে সদস্য বেশি। মাসে ১২-১৫ কেজি পেঁয়াজ লাগে। তাই খাতুনগঞ্জ থেকে কম দামে ভালো টেকসই পেঁয়াজ এক বস্তা করে নিয়ে যাই। দুই-তিন মাস নিশ্চিন্ত থাকি।