এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বরগুনার তালতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান ও ১৩টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৫টি দোকান।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে হঠাৎ কড়াইবাড়িয়া বাজারের একটি পেট্রোলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশের দোকান ও সবত ঘরে। পরে স্থানীয়রা তালতলী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তালতলী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভাতে গেলে গাড়িতে পানি না থাকায় তারা আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়।
পরে পাশের ডোবা থেকে মেশিনের মাধ্যমে পানি দেয়ার চেষ্টা করলে মেশিনে ফুয়েল না থাকায় তাও ব্যর্থ হয়। পরে খবর দেয়া হয় আমতলী ফায়ার সার্ভিসকে। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে পুড়ে যায় মুদি-মনিহারি, হার্ডওয়্যার, ফার্মেসি ও তেলের দোকানসহ ২৫টি দোকান এবং ১৩টি বসতঘর।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তালতলী ফায়ার সার্ভিসের অপেশাদার কর্মকাণ্ডের কারণে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসী কালাম মল্লিক বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের গাফেলতির কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যদি নিজেরা সবসময় প্রস্তুত না থাকেন, তাহলে কি করে চলবে। এই দায় ফায়ার সার্ভিসের নিতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম সিকদার পনু বলেন, ‘কড়াইবাড়িয়া বাজারে এর আগে কখনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ২৫ জন ব্যবসায়ী পথে বসে গেছেন। তালতলী ফায়ার সার্ভিস যখন ঘটনাস্থলে আসে তখন তারা যদি আগুন নিভানোর কাজ শুরু করতে পারতেন তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হতো।’
এ বিষয়ে তালতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।