এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) উপজেলার চিকনিকান্দি হাটের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন এবং জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খানের অনুসারীদের মধ্যে এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
হাসান মামুনপন্থি চিকনিকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান লিমন অভিযোগ করে বলেন, চিকনিকান্দি হাটের টোল আদায়ের একটি অবৈধ ইজারা নিয়েছিলেন শিপলু খানের অনুসারী যুবদল নেতা মুকুল প্যাদা। উপজেলা প্রশাসন সেটি বাতিল করার পরও তিনি সাদা কাগজে চুক্তি দেখিয়ে টোল আদায় শুরু করেন। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের ওপর হামলা হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
অন্যদিকে, শিপলু খানের অনুসারী যুবদল নেতা মুকুল প্যাদা দাবি করেন, উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই তিনি টোল আদায় শুরু করেন।
তিনি বলেন, আমরা বৈধভাবেই টোল আদায় করছিলাম। কিন্তু সাজ্জাদুর রহমান লিমনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ এসে বাঁধা দেয় এবং আমাদের সঙ্গে থাকা তহশিলদার আলতাফ হোসেনকে লাঞ্ছিত করে।
ঘটনার সময় ককটেল বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশাসনের বক্তব্যে বিভ্রান্তি দেখা গেছে। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, ‘কোনো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি, স্থানীয় কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে পটকা ফাটিয়েছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় এবং লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা এবং ওসি আশাদুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, হাটটির কোনো ইজারা হয়নি। তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তহশিলদার খাস আদায় করছেন। তবে একজন রাজনৈতিক নেতার অনুসারীকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিলে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধ দেখা দেবে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার মো. নাসিম রেজা বলেন, চিকনিকান্দি হাটের টোল স্থানীয় তহশিলদার খাস আদায় করেন। আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ টোল আদায় করতে ঝামেলা সৃষ্টি করে। তবে এখন হাটটি তহশিলদারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাটের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।