এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলব, একবারে টানি ছিঁড়ি ফেলব তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো! খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাক, চেনো বিএনপিকে। এ তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানা যায়া ওখানে লিখবো, উয়াক অ্যারেস্ট করি দিয়ো তারপরে আমি আসবো।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল এসব কথার ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটি নিয়ে চলছে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজারহাট শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক ও রাজারহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক রুবেল মিয়া বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চান্দামারী দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি পদের জন্য রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান তিন জনের নাম প্রস্তাব করেন।
তারা হলেন- রাজারহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ তালিকার বিপরীতে আমি রাজারহাট উপজেলা জামায়েতের সেক্রেটারি অ্যাড. আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করি। সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানামোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে পথরোধ করে পাশে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যাম।
সেখানে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়, থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করে এবং গালিগালাজ করে। বিষয়টি আমার দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। নিরাপত্তা জনিত কারণে মামলা করিনি।’
অভিযুক্ত রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, ‘রুবেল মিয়া শিবিরের করে। সে বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যা কথা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছিল।
এই বিষয়ে তাকে বলা হলে সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। পরে তাকে নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা চা-নাস্তা করায়। সুন্দরভাবে তারা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু সে ওই ঘটনার পুরো ভিডিও না দিয়ে শুধুমাত্র আমার কথার অংশটুকু অন্য একজনের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে।’