এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : স্বৈরাচার সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং এসবির একজন কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সঙ্গে তার ছেলে ও শ্যালকও দেশ ছেড়েছেন। তারা রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ইমিগ্রেশন, এইসএসআইএ শিফট১'এর একজন বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, রাত তিনটার ফ্লাইটে চিকিৎসার উদ্দেশে তিনি রওয়ানা দেন। তার সঙ্গে শ্যালক ও ছেলেও রয়েছেন। আমরা তার ভিসা ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেছি।
আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তার সঙ্গে শ্যালক ডা. নওশাদ খান এবং ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ আছেন। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গেছেন।
প্রসঙ্গত, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।