এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেছেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ধ্বংসকারী শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে দলটি নিষিদ্ধ করতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট একটি দল। জাতিসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবে তারা দুই হাজার মানুষকে খুন করেছে। ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গু করেছে । এর পেছনে একমাত্র আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে। ফলে ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ধ্বংসকারী শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে দলটি নিষিদ্ধ করতে পারে।
শৈলকুপা বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ চেম্বারের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, শৈলকুপা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঝিনাইদহ জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী কন্ট্রোলার ড. ওয়ালিদ হাসান পিকুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আসিফ ইকবাল মাখন, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, বণিক সমিতির জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক হারুনুর রশিদ হেলাল, সাইদুজ্জামান সাঈদ প্রমুখ।
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে অনেক মানুষ খুন করা হয়েছে। সাড়ে চার হাজার মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে ১৭ বছরে ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন সবকিছুই মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই ইনশাল্লাহ।
তিনি কবি হেলাল হাফিজের কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, আমরা ভীরু কাপুরুষের উপমা হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন আওয়ামী লীগ ও তার দোসরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, আস্ফালন করুক দেশের সংবিধান ও আইনের হাত অনেক লম্বা। আর তাদের বিচারের জন্যই এখনো লক্ষ কোটি জনতা রাজপথে আছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে গুম, হত্যা ও খুনের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে কোথাও একটি মানুষও গুম হয়নি। কোনো থানায় পুলিশ বাদি হয়ে গায়েবি মামলা করেনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ গত ১৭ বছর বিএনপি ও জামাতসহ যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে তাদেরকে গুম করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে। এইসব বিবেচনায় আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার করা না গেলে শহীদ মুগ্ধ ওয়াসিম ও শিশু আনাসের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। জুলাই বিপ্লবের শহীদদের বিচার করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ের কথা ভাবছে সরকার। সেই আইনে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের খুনিদের বিচার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।