এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দিচ্ছেন- এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার এসব শিক্ষকদের ওপর নজরদারি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ‘সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন’ নামের একটি পুনর্গঠিত কমিটি তাদের প্রথম সভা করেছে। সভায় এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে নজরদারিসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং শিক্ষকদের অনলাইন কার্যকলাপের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অধিদপ্তর থেকে নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সভায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র রয়েছে। কিছু প্রাথমিক স্কুলের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী এমন পোস্ট, ভিডিও এবং তথ্য শেয়ার করছেন যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থি এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এমনকি কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়ম ভেঙে ফেসবুক ও অন্য মাধ্যমে লাইভ করা, বিতর্কিত মন্তব্য করা এবং ভিডিও আপলোড করার মতো কার্যক্রমে জড়িত হচ্ছেন, যা স্পষ্টতই নির্দেশিকার লঙ্ঘন।
সভায় উল্লেখ করা হয়, একজন সহকারী ইন্সট্রাক্টর সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে ট্যাগ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
সভায় কর্মকর্তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং টিম বিদ্যমান থাকলেও কার্যত তারা নিষ্ক্রিয়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিমগুলোর কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি পর্যায়ে ফোকাল পারসন নিয়োগ করে তাদের ই-মেইল, ফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সংগ্রহ করা হবে এবং টিম সদস্যরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে তথ্যের আদান-প্রদান করবেন। পাশাপাশি, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত শিক্ষকদের কোনো বিতর্কিত বা নির্দেশিকা-বহির্ভূত কার্যক্রম নজরে এলে প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও প্রতি দুই মাস পরপর উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সভা আয়োজন করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠাতে হবে।