এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আইন সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর অনুচ্ছেদ ১৯-এর দফা (৬) মোতাবেক বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান-কে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক-এর পদ থেকে ২১ মে অপসারণ করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই নিহত ছয়জনের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন এবং সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্ব বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ২০১৮ সালে তাকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ২০২০ সালে তাকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হয়।
গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে হাইকোর্টের যে ১২ বিচারপতিকে বিচারিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাদের একজন বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান।
এর আগে, গত বছরের ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘আওয়ামী লীগপন্থি ফ্যাসিবাদী বিচারকদের’ অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শত শত বিক্ষোভকারী, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তার ফলশ্রুতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিচারিক দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বিচারপতিরা হলেন—বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, এসএম মনিরুজ্জামান, খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।
তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস অবসরে গেছেন। কারণ তাদের বাধ্যতামূলক অবসরের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হয়েছে।
এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। বিচারপতি আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলন হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিশ্চিত না হওয়ায় চাকরিতে নেই। এছাড়া গত ২০ মার্চ বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়।