এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মো. নাজমুল হুদার সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় সারজিস আলম বলেছেন, আমি তার বিরুদ্ধে কোথাও কখনো কোনো অভিযোগ করিনি। ইভেন এমন কিছু যে হয়েছে এটা আমি ১৪ এপ্রিলের পূর্বে জানতামও না।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি৷
সারজিস লেখেন, গত এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে একজন ভাই আমাকে দুইটি অফিস আদেশের ছবি পাঠান। যেখানে দেখতে পাই আমার ফেসবুক পোস্টে অপ্রীতিকর কমেন্ট করার জন্য একজনকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে সাময়িক বহিষ্কার এবং মার্চ মাসের ১৩ তারিখে বিভাগীয় মামলার সম্মুখীন করা হয়।
তিনি লেখেন, প্রথমেই বলে রাখি, আমি তার বিরুদ্ধে কোথাও কখনো কোনো অভিযোগ করিনি। ইভেন এমন কিছু যে হয়েছে এটা আমি ১৪ এপ্রিলের পূর্বে জানতামও না। তাদের অফিসের কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজ করে থাকে তাহলে সেটি আমার জানার সুযোগ থাকে না এবং আমি জানতাম না।
সারজিস আরও লেখেন, ১৪ তারিখে জানার সঙ্গে সঙ্গে যেই ভাইয়ের মাধ্যমে আমি খবরটি জানতে পারি তার কাছে উনার কন্টাক্ট নম্বর চাই। উনি নম্বর ম্যানেজ করে দেন। এরপর সেদিনই আমি তার সঙ্গে কথা বলি। তাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করতে বলি। তার কাছে জানতে পারি তিনি ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন। অতঃপর আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলি। তিনি সরকারি কর্মচারী হিসেবে তাদের আচরণগত শৃঙ্খলা ভঙ্গের কথা বলেন।
সারজিস ফেসবুকে লেখেন, আমি তাকে অনুরোধ জানাই- আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে আমার পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই। তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ করি। এখন তিনি সেই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন।
তিনি আরও লেখেন, এটাই ছিল ঘটনা। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচারমূলক নানা মোড়কে প্রকাশ না করার আহ্বান থাকবে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সারজিসের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করার পরদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী মো. নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনায় ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়ে গত ২৭ মার্চ বিভাগীয় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চাওয়া ব্যাখ্যার জবাব দিয়েছেন নাজমুল হুদা। নাজমুল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব শাখায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২ শাখায় সংযুক্ত করা হয়।