এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জমি কেনা-বেচার নিবন্ধন খরচ কমিয়েছে সরকার। এলাকাভেদে সর্বোচ্চ নিবন্ধন খরচ দুই শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। ফলে এখন এক লাখ টাকার জমির নিবন্ধন করতে খচর কমবে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা।
সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাঠার পরিবর্তে শতাংশে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রকৃত বিক্রয়মূল্যে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে জমি হস্তান্তর থেকে উৎসে কর সংগ্রহের বিদ্যমান মূলধনী মুনাফা কর হার কমিয়ে এলাকাভেদে বিদ্যমান হার ৮, ৬ ও ৪ শতাংশের স্থলে যথাক্রমে ৬, ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ এ হ্রাস করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%।
এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।
এর আগে সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বৈঠকে বসেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বিশেষ বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা।