এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : হঠাৎ করেই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। ২০১৩ সালে ‘দুয়ার’ নামের একটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দেশব্যাপী এ সেবা চালু করেছিল ব্যাংকটি। জনপ্রিয়তা পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সেবার কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা কমে আসায় চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। গত শুক্রবার (২০ জুন) ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (২১ জুন) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৬২টি শাখা রয়েছে। পাশাপাশি দুয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত ৫৬৭টি এজেন্ট পয়েন্ট চালু ছিল। গত বৃহস্পতিবার দুয়ারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর নতুন করে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়, যা মানতে অস্বীকৃতি জানায় দুয়ার। ফলে চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, “দুয়ারের সঙ্গে আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে চুক্তি করতে আমরা কিছু শর্ত দিয়েছিলাম, যা তারা মানতে রাজি হয়নি। ফলে চুক্তি আর হয়নি।”
অগ্রণী ব্যাংকের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি এক অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুয়ারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। এ কারণে নতুন করে চুক্তি করার আগে অনিয়ম রোধে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি তা মানতে রাজি না হওয়ায় চুক্তি বাতিলের পথেই হাঁটে ব্যাংকটি।
অগ্রণী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “দুয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত কিছু কার্যক্রম ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। আবার অনেক শাখা কর্মকর্তা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ওই কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে পড়েন। এতে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল, কিছু শাখা লোকসান গুনছিল। এসব কারণেই চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি।”
তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, যেসব গ্রাহক আগে দুয়ারের মাধ্যমে সেবা নিতেন, তারা এখন নিকটবর্তী অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়ে আগের মতোই সব ধরনের ব্যাংকিং সুবিধা পাবেন।