এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশে জমি কেনার পর অনেকেই তা খারিজ (নামজারি) করান না, ফলে ভবিষ্যতে পড়েন নানা ধরনের আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতায়। জমির খারিজ না করা মানে হলো—সরকারি রেকর্ডে আপনি এখনো জমির মালিক নন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খারিজ না করা জমির মালিকানা, বিক্রি, উত্তরাধিকার, খাজনা বা ক্ষতিপূরণ—সব কিছুতেই বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে।
জমি খারিজ না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
মালিকানা থাকবে প্রশ্নের মুখে
আপনি দখলে থাকলেও, রেকর্ডে নাম না থাকায় কেউ স্বীকার নাও করতে পারে আপনি মালিক। ভবিষ্যতে আদালতে প্রমাণ করা কঠিন হবে।
বিক্রি করা যাবে না
নামজারি ছাড়া জমি বিক্রি আইনত বৈধ নয়। এমনকি ব্যাংকও এ জমির বিপরীতে কোনো ঋণ দেবে না।
সরকারি খাজনা দেওয়া যাবে না
খারিজ না থাকলে ভূমি অফিস খাজনা নিতে রাজি হবে না। এতে জমির হালনাগাদ রেকর্ড তৈরি হবে না।
মামলা ও উত্তরাধিকারের ঝুঁকি
পূর্বের মালিক বা তার উত্তরসূরি দাবি করতে পারে যে জমি তাদের। আবার আপনার মৃত্যুর পর উত্তরসূরিরা জমি পাবে না, কারণ রেকর্ডে আপনি ছিলেন না।
ক্ষতিপূরণও মিলবে না
সরকারি প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় যাঁর নাম খতিয়ানে আছে তাকে। খারিজ না করা থাকলে ক্ষতিপূরণ যাবে পুরোনো মালিকের হাতে।
কী করবেন খারিজ নিশ্চিত করতে?
১. দলিল রেজিস্ট্রির পরই ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি আবেদনের জন্য যান।
২. জমির দলিল, পর্চা, ট্যাক্স রিসিপ্ট, এনআইডি, ছবি, খতিয়ান জমা দিন।
৩. ওয়ারিশ হলে ওয়ারিশান সনদ ও ঘোষণা পত্র লাগবে।
৪. কোনো জটিলতা থাকলে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
জমি কেনার পর খারিজ না করাটা শুধু অবহেলা নয়—এটি ভবিষ্যতের বড় ঝুঁকির ভিত্তি।সুতরাং জমি কিনে নিশ্চিন্ত হতে হলে খারিজ নিশ্চিত করুন।