এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যার শিকার মুসলিম ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) ‘হিন্দু’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় মিডিয়া। ভুলভাবে সোহাগের পরিচয়ে তুলে ধরেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ডব্লিউআইওএনে সোহাগকে হিন্দু পরিচয়ে তুলে ধরলেও বাস্তবতা হলো- নিহত মো. সোহাগ ওরফে লালচাঁদ একজন মুসলিম ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বাবার নাম মো. আইয়ুব আলী এবং মাতার নাম আলেয়া বেগম। তার স্ত্রীর নাম লাকি বেগম, একমাত্র পুত্র সোহান ও মেয়ে ফাতেমা।
রোববার (১৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিএ প্রেস উইং জানায়, গত ৯ জুলাই সার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে একদল সন্ত্রাসী মো. সোহাগের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। তার মৃত্যুর পর তার নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সোহাগকে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বান্দরগাছিয়া গ্রামে তার মায়ের কবরের পাশে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
উল্লিখিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো শিরোনামে সোহাগকে হিন্দু হিসেবে দাবি করলেও রিপোর্টে তার ধর্মীয় পরিচয় বা পারিবারিক পটভূমি সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে আসছে।