সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:১৬:২৮

অবশেষে ইলিশ মাছ নিয়ে বড় সুখবর

অবশেষে ইলিশ মাছ নিয়ে বড় সুখবর

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পটুয়াখালীর এক ট্রলারে ৬৫ মণ ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। এ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স খান ফিস নামে একটি আড়তে নিয়ে এলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়। এর আগে মাছগুলো শুক্র ও শনিবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।

জানা গেছে, এফবি সাদিয়া-২ নামের মাছ ধরা ট্রলারটি গত ৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেললে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।

মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে ৩টি আকারে আলাদা করা হয়। ১ কেজি ওজনের মাছ মণ প্রতি ৯৫ হাজার টাকা, ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকা ও ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ৫৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছি বহুবার। এই প্রথম ভালো পরিমাণে মাছ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।

খান ফিসের ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরী আবহাওয়া জেলেরা দিশাহারা হয়ে পড়ে। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন জেলেরা।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে আশা করা যায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে