এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘বিএনপি নেতা বনে গিয়ে পল্লবীতে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন যুবলীগ নেতা জাকির’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদের পর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযুক্ত জাকিরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে পল্লবী থানা এলাকায় যারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জনজীবন বাধাগ্রস্ত করছেন তাদের বিস্তারিত নাম-ঠিকানাসহ আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশে বলা হয়, গত ২৫ জুলাই ‘বিএনপি নেতা বনে গিয়ে পল্লবীতে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন যুবলীগ নেতা জাকির’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
যা আদালতের নজরে আসে।
প্রচারিত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়েছে যে, পল্লবী থানাধীন টেকেরবাড়ী ও সাগুফতা এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তাদের স্বাভাবিক ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা একই সঙ্গে মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং একটি আমলযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে অপরাধের শিকার ভিকটিমরা তাদের প্রাণভয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করতে বা মামলা করার মতো সাহস পাননি। যা প্রতিবেদনে প্রচারিত অপরাধের ঘটনার শিকার হওয়া ভিকটিমদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারকে বিঘ্নিত করেছে।
এ প্রতিবেদন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ (১) সি ধারায় আমলে নেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এ আদালতের নজরে এসেছে।