এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফরমটা এখন বৈষম্য সৃষ্টির প্ল্যাটফরম বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফরমটা এখন বৈষম্য সৃষ্টির প্ল্যাটফরম। এটার পবিত্রতা রক্ষায় প্ল্যাটফরমটির কার্যক্রম স্থায়ীভাবে স্থগিত রাখা দরকার।
এই প্ল্যাটফরমের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে সত্য। কিন্তু ১ বছরে সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধির পরিচয়ে যেভাবে চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, প্রমোশন ও রদবদল ইত্যাদি হয়েছে, এই প্ল্যাটফরমের বর্তমান সুনাম ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ’-এর মতো। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই প্ল্যাটফরমের এমন অপমৃত্যু কারো প্রত্যাশিত ছিল না।
তিনি আরো লেখেন, সর্বজনীন প্ল্যাটফরম হিসেবে এটাকে ইতিহাসের পাতায় সংরক্ষিত রাখা দরকার ছিল, যাতে সবাই প্ল্যাটফরমটিকে ওউন (own) করে।
এই প্ল্যাটফরম বা সমন্বয়ক পদ ইত্যাদির প্রতি মানুষের যত নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পাবে, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের তত ঘৃণা প্রশমিত ও জুলাই নিয়ে আগ্রহ-প্রত্যাশা মলিন হবে। কিন্তু মনে হচ্ছে, প্ল্যাটফরমটিকে বিতর্কের মধ্যে রাখা কারো কারো উদ্দেশ্য। সেই বিতর্কের ফাঁদে যদি স্বয়ং রাজনীতিক, ছাত্রসংগঠক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা পা দেন, তা হবে দুঃখজনক।
রাশেদ খান বলেন, গত ১ বছরে যাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের স্টেক থেকে বঞ্চিত করেছে, এখন যদি কুক্ষিগত করা এই প্ল্যাটফরমের ইমেজ ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে ডাকা হয়, আর সবাই চলে যায়, তা হবে নিজেদের নিজেরা অপমানিত করা।
এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম আত্মমর্যাদা থাকা দরকার। ১ বছর পরে তাদের উপলব্ধি হয়েছে যে এই প্ল্যাটফরম বাঁচানোর জন্য সবাইকে লাগবে! এর আগে মনে হয়নি...!