শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:১৩:২৭

আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান

আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, আওয়ামী-বাকশালীরা কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নির্মূল ও জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য আল্লামা সাঈদীকে সর্বপ্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার স্থানীয় একটি অডিটরিয়ামে উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

থানা আমির মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহাগনর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন জোনের সহকারী পরিচালক মাহবুব আলম মুকুল, ঢাকা-১৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ৫১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজি আরব আলী, থানা অফিস সম্পাদক জিএম আসলাম, থানা বাইতুলমাল সম্পাদক মশিউর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান, জাহাঙ্গীর শিকদার, ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।

আলোচনা শেষে আল্লামা সাঈদী, শহীদ জাতীয় নেতৃত্বরা ও জুলাই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন এবং প্রখ্যাত বাগ্মী। একজন বিশ্বখ্যাত আলেম হিসেবে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রেই তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। তিনি বারবার জাতীয় সংসদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার খ্যাতি ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা ছিল ভিন্ন। ২০১২ সালে স্কাইপ কেলেংকারির মাধ্যমে সে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয় এবং সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর অপহরণে স্বৈরাচারের নীলনকশা জাতির সামনে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। তারপরও তাকে দীর্ঘ ১৫ বছর কারাভোগ করতে হয়। তার কারাগারে মৃত্যুর বিষয়টি এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে।

তিনি আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।

আব্দুল হালিম বলেন, রুকনিয়াত কোনো পদ-পদবি নয় বরং একটি মানের নাম। আমরা আল্লাহর দ্বীনের জন্য জান-মাল কোরবানি করার প্রত্যয় নিয়েই শপথবদ্ধ হয়েছি। আর শপথের মূল কথায় হলো, ‘আমার নামাজ, আমার কোরবানি, জীবন ও মৃত্যু সব কিছু আল্লাহর জন্য’। তাই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ময়দানে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে হবে।

ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে জামায়াতের ওপর জুলুম-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৮ বছরে ১১ শীর্ষনেতাকে শহীদ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমিরও রয়েছেন। এ সময় আমাদের মোট শহীদের সংখ্যা ৫শর অধিক। মারাত্মক আহত হয়েছেন ৫ হাজার। এদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ২ হাজার নারীসহ লক্ষাধিক মানুষ কারাবরণ করেন। কিন্তু কোনোভাবেই জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়নি। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে রুকনদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণে আহ্বান জানান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে