শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৪:১৪

ঢাকার খুচরা বাজারে হঠাৎ ডিমের হালি কত হয়েছে জানেন?

ঢাকার খুচরা বাজারে হঠাৎ ডিমের হালি কত হয়েছে জানেন?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : লেরাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে এখন এক হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আড়তেই ডিমের দাম বেশি। তাই তাঁদের বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিভিন্ন সবজির দামও এখন বেশ চড়া। কাঁচা পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জগন্নাথপুর বাজার (বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রবেশপথে) ও জোয়ার সাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেল। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে এখন সবজির উৎপাদন আর সরবরাহ কম। তাই দামও বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা এবং শসা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত ফুলকপি ও মুলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। দাম তুলনামূলক বেশি। একেকটি ফুলকপি ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি মুলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল।

বাজারে এখন কাঁচা মরিচের দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩২০ টাকায়। কয়েক দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৭০ টাকা, লাউ ১০০, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৪০, বেগুন মানভেদে ১০০ থেকে ১৮০, কাঁচা পেঁপে ৪০, কাঁকরোল ১০০, কচুর মুখি ৮০ এবং ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া এক আঁটি পুঁইশাক ৪০ টাকা, ডাঁটাশাক ৩০ টাকা এবং কচু পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। প্রতি কেজি গাজর ১৪০ টাকা, আলু মানভেদে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হালি লেবুর দাম আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা।

হঠাৎ সবজির বাজার চড়া হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা হৃদয় আহমেদ বলেন, এখন তো বৃষ্টি হচ্ছে। সবজির উৎপাদন কম। সে জন্য দাম একটু বেশি। শীত এলে দাম কমে যাবে। এ প্রসঙ্গে হৃদয় আরও বলেন, ‘এখানে আসলে কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। সরকার চাইলে খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।’

কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মুকসিদুল হক। বাজারদরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পটোল ও করলা কিনলাম। দাম তুলনামূলক বেশিই মনে হয়েছে। বিক্রেতারা বাড়তি দামের জন্য বৃষ্টি–বন্যাসহ নানা কারণ বলছেন।’

খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম বেশি কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আড়তদারেরা দাম বেশি রাখলে আমরা কী করব? আমাদের বেশি দামে কিনে সেটা বেশি দামেই বেচতে হয়। কিছু করার নেই।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে