মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:৩০:২৯

কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তার মা তাহমিনা বেগমের (৫২) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। জিন তাড়ানোর জন্য ডেকে আনা কবিরাজ তাদের হত্যা করেন। ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত কবিরাজ মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোবারক হোসেন নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি নগরীর বাবুস সালাম জামে মসজিদের খাদেম। পাশাপাশি কবিরাজি করেন তিনি। 

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। 

পুলিশ সুপার জানান, নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনের মা তাহমিনা বেগম নগরীর বাবুস সালাম জামে মসজিদের খতিব ইলিয়াস হুজুরের কাছে মাঝেমধ্যে ঝাঁড়ফুকের জন্য যেতেন। সেখানে পরিচয় হয় ওই মসজিদের খাদেম মোবারকের সাথে। মোবারক নিজেও কবিরাজি করেন বলে তাহমিনা বেগমকে নিশ্চিত করেন। সেই সূত্র ধরে গত একমাস ধরে তাহমিনা বেগমদের বাসায় যাতায়াত ছিল মোবারকের। গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাহমিনা বেগম তার মেয়ের জিন তাড়ানোর জন্য কবিরাজ মোবারককে বাসায় ডাকেন। এ সময় মেয়ে সুমাইয়া আফরিনের কক্ষে জিন তাড়ানোর জন্য যান মোবারক। 

একপর্যায়ে কবিরাজ মোবারক সুমাইয়াকে ধ'র্ষ'ণের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মা তাহমিনা বেগম টের পেয়ে তার মেয়েকে বাঁচাতে যান। এ সময় মোবারক সুমাইয়াকে তার কক্ষে আটকে রেখে সুমাইয়ার মা তাহমিনাকে তার কক্ষে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে সুমাইয়া আফরিনের কক্ষে গিয়ে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাদের বাসায় থাকা চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। 

পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশের একাধিক ইউনিট ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুরোদমে কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলের পাশের একটি স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে মূলহোতা মোবারককে শনাক্ত করা হয়। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া কবিরাজ মোবারক সোমবার রাতে ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা হন। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে নগরীর ধর্মপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড দুটি একজনই সংগঠিত করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। আর কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তারকৃত মোবারককে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে