মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:২৯:০৬

ঢাবিকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে পরিণতি শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ হবে: হুঁশিয়ারি সাদিক কায়েমের

 ঢাবিকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে পরিণতি শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ হবে: হুঁশিয়ারি সাদিক কায়েমের

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ডাকসু নির্বাচন ঘিরে কেউ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চায় তাহলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রথমেই নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ। ছাত্রদলের প্রার্থীদের বাড়তি সুবিধা দেয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি। এরপর নিজের বক্তব্যের শুরুতে সাদিক কায়েম ডাকসু নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে নিহত সাংবাদিককে স্মরণ করেন।

এরপর তিনি বলেন, সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে আমাদের কোন ভোটাধিকার ছিল না। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আজকে আমরা রাজনীতি ফিরে পেয়েছি। আজকে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে এসে তাদের ভোট দিচ্ছে। আমরা সবাই সেলিব্রেট করছিলাম। কিন্তু সেই সাথে আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম, ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার— যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসনকে অনুরোধ করবো দ্রুত সময়ে যারা জড়িত তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনা হোক।
 
আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানাবো— এই ডাকসু নির্বাচন জুলাই আকাঙ্ক্ষা পূরণের নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের সহযোদ্ধা, জুলাই বিপ্লবের অংশ যারা ছিল, তারাই আজকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করছি— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লব শুরু করেছিল, খুনি হাসিনার পতন ঘটিয়েছিল। আবারও যদি কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে।
 
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে।
 
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

 ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।

এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।

এবারের নির্বাচনে রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), সাতটি বাম ছাত্র সংগঠনের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, জুলাই আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’, ছাত্রশিবির, তিন বাম সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্তত ১০টি প্যানেল।
 
দিনভর কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ ছাড়াই ভোটগ্রহণ হলেও প্রার্থীদের অনেকে একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে