বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:১২:১১

এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে জাকসুর ভোট গণনা

এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে জাকসুর ভোট গণনা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গণনা অবশেষে শুরু হয়েছে। ভোট গণনা করা হচ্ছে ম্যানুয়ালি। দেখানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। এর আগে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৮টা পর্যন্তও ভোটগ্রহণ করতে দেখা যায়।

বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, আল বেরুনী হলে ২১১ ভোটারের বিপরীতে ১২৫ ভোট, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ ভোটারের বিপরীতে ২১৬, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ ভোটারের বিপরীতে ৩১০, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ ভোটারের বিপরীতে ১৩৭, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৯ ভোটারের বিপরীতে ২২৪, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ ভোটারের বিপরীতে ৩৮৪, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ ভোটারের বিপরীতে ২৪৭, প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ ভোটারের বিপরীতে ২৪৬, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ ভোটারের বিপরীতে ২৪৯, ১০নং (ছাত্র) হলে ৫৪১ ভোটারের বিপরীতে ৩৮১, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫৬ ভোটারের বিপরীতে ৪৭০, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ ভোটারের বিপরীতে ২৪৬, ১৩ নং (ছাত্রী) হলে ৫৩২ ভোটারের বিপরীতে ২৭৯, ১৫ নং (ছাত্রী) হলে ৫৭১ ভোটারের বিপরীতে ৩৩৮, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ ভোটারের বিপরীতে ২৬১, রোকেয়া হলে ৯৫৫ ভোটারের বিপরীতে ৬৮০, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৩ ভোটারের বিপরীতে ৪৮৯, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৪ ভোটারের বিপরীতে ৫৯৫, ২১ নং (ছাত্র) হলে ৭৩৫ ভোটারের বিপরীতে ৫৬৪, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯১ ভোটারের বিপরীতে ৮১০ এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ ভোটারের বিপরীতে ৭৫২টি ভোট পড়েছে।

জানা গেছে, জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৮ হাজার ১৬টি ভোট পড়েছে। ৩৩ বছর হয় হওয়া এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৯১৯ জন। অর্থাৎ মোট ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহকারী পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে গণনা করা হচ্ছে এবং সেখানেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এবারের নির্বাচনে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৮ প্রার্থী। নির্বাচনে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের সমর্থিত ৮টি প্যানেল অংশগ্রহণ করে। তবে, শেষ সময়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সব প্রার্থী। এছাড়া আরও তিনটি প্যানেল ও পাঁচ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

এছাড়া পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ৪টি প্যানেলের প্রার্থীরা। প্যানেলগুলো হলো- সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ, ছাত্র ফ্রন্ট একাংশের প্যানেল। এই দাবিতে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একাত্মতা জানিয়েছেন।

এদিন সকাল ৯টায় জাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলকে কেন্দ্র করা হয়। ২১ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ছয় হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী পাঁচ হাজার ৭২৮ জন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেন (টিক চিহ্ন)।

এদিকে ভোটগ্রহণের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় জাকসুর নির্বাচন কমিশনকে। কোথাও ব্যালট পেপার না পৌঁছানোয় দেরিতে ভোট শুরু করতে হয়। আবার কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। একটি কেন্দ্রে ছিল না আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালিও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে