এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কৃষি ও পল্লী ঋণে এখন থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) চার্জ নিতে পারবে না ব্যাংক।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর গত ৫ মে তারিখে জারিকৃত সিআইবি সার্কুলার লেটার নং-০২ এর মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণের আওতাভুক্ত শস্য-ফসল খাতসহ অন্যান্য সব খাতে সর্বোচ্চ ২.৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নতুন ঋণ আবেদন বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা, সহ-ঋণগ্রহীতা, জামিনদারের প্রস্তুতকৃত সিআইবি রিপোর্টের ক্ষেত্রে আরোপযোগ্য সার্ভিস চার্জ মওকুফের সুযোগ দেয়া হয়।
তবে গ্রাহকের কাছ থেকে সিআইবি চার্জ আদায় করলেও ব্যাংকগুলো বিতরণ করা কৃষি ও পল্লী ঋণের মধ্যে খুবই অল্প সংখ্যক ঋণের বিপরীতে সিআইবি চার্জ পুনর্ভরণের নিমিত্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করছে। ফলশ্রুতিতে বিপুলসংখ্যক ঋণগ্রহীতা উক্ত চার্জ মওকুফের সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার অনুচ্ছেদ নং ২.১.৬ এ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে গ্রাহক পর্যায়ে স্বল্পসুদে কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকগুলো নির্ধারিত সুদ ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের চার্জ, প্রসেসিং বা মনিটরিং ফি ইত্যাদি (যে নামেই অভিহিত করা হোক) ধার্য করা যাবে না মর্মে শর্তারোপ করা হয়েছে। তাই এখন থেকে ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় (যেখানে এনজিও বা এমএফআই যুক্ত নয়) ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ও পল্লী ঋণের মঞ্জুরি বা নবায়নের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে সিআইবি চার্জ নেয়া যাবে না।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যা অবিলম্বে কার্যকর।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।