এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সংকটে থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের আওতায় এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে অস্থায়ী প্রশাসক বসাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটি প্রশাসকের সহায়তায় থাকবেন চারজন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিশেষ সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। মূল লক্ষ্য হলো আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিয়ে ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনা।
বিগত সময়ে ব্যাপক জালিয়াতির কারণে এসব ব্যাংকের ৪৮–৯৮ শতাংশ ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। একীভূত করতে প্রয়োজনীয় ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও এমডির পদ বাতিল হবে। শেয়ারও শূন্য হয়ে যাবে। তবে আমানতকারী ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষার নিশ্চয়তা থাকবে। একীভূত হওয়ার আগে নতুন একটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে, সম্ভাব্য নাম ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। সরকারের মূলধনেই এটি গড়ে উঠবে, পরে ধাপে ধাপে বেসরকারি খাতে শেয়ার বিক্রি করে সরকারের অর্থ ফেরত আনা হবে। বড় আমানতকারীদের শেয়ার নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে, আর ছোট আমানতকারীরা চাইলে সহজেই টাকা তুলে নিতে পারবেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনে। ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতে সম্মতি দেয়। এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী সময় চাইলেও তা মঞ্জুর হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সরকার সম্পূর্ণ দায়ভার নেবে।