এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’ কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৫ সালের দুই শতাংশ শীর্ষ বিজ্ঞানীর তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষক-গবেষক স্থান পেয়েছেন। গত বছর এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক-গবেষক স্থান পেয়েছিলেন। এবার প্রায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে।
গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি এবং সহ-লেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষক ও গবেষকদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এই স্বীকৃতি শুধু শিক্ষক ও গবেষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়। এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য একটি টেকসই অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছর ধরে গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তালিকায় স্থান পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত গবেষক ও তাদের বৈশ্বিক অবস্থান-এম. এ. খালেক (১৬,২৯৪), মো. মঞ্জুর হাসান (২১,০৫৭), মুহাম্মদ ইব্রাহিম শাহ (৩৮,১২৯), মো. আব্দুল মুকতাদির (৩৮,৪৩৯), মো. রাকিবুল হক (৩৯,৮৭০), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী (৬২,৭৪২), নেপাল চন্দ্র রায় (৭৭,২৪২), অমিত আবদুল্লাহ খন্দকার (৮০,৩০১), তসলিম উর রশিদ (৯০,৯৫৩), আব্দুস সালাম (৯৪,৫৯৫), মো. নাজমুল হাসান (৯৬,৩৬৯), কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ (৯৯,৫৭৮), মো. শাদ সালমান (১,০৫,৭৬৩), এম. রেজাউল ইসলাম (১,০৬,৪১৬), মো. কাওসার আহমেদ (১,১১,৯৯৪), খাদিজা কুবরা (১,১৩,৭১৬), এম. এস. রহমান (১,১৭,১৭১), তাওসিফুর রহমান (১,১৯,১৬৭), আনিছুর রহমান (১,৩১,৩৫৩), সৈকত মিত্র (১,৩৫,৫২০), এম. মঈনুল ইসলাম (১,৫২,৫৫৭), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (১,৫৫,০৯৯), মো. আবু বিন হাসান সুসান (১,৭০,৪৮৩), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (১,৭১,৮১৬), এম. ফেরদৌস (১,৭৭,৯৮৮), মো. আব্দুল কুদ্দুস (১,৮২,৪৩৭), মো. মাহমুদুল ইসলাম (২,৩৮,৩৫৫), মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা (২,৪৮,৮২০), মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৩,০৮,৮২০), মো. রবিউল হাসান (৩,৫৬,৬৪৮), আল সাকিব খান পাঠান (৩৫৭,১৮০), মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৭১,৬৫৬), অনিমেষ পাল (৩৮১,৫৯৩), শেখ এম. এম. ইসলাম (৩৯৫,৭৮৫) এবং মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (৪৩৮,২৭১)।