সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬:২৪

এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তার বক্তব্য সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে বলে মনে করেন ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতা। 

ওই সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি জনসভায় বক্তব্য দানকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সম্পর্কে অশ্লীল ও অশালীন মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

এ্যানির মতো একজন ব্যক্তি এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাজনৈতিক এবং সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে বলে মনে করেন তারা।

ওই দুই নেতা বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডিরেক্ট স্বৈরাচারের সঙ্গী। কারণ তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে তাদের ছয়জন এমপি পাঠিয়েছে। ২০১৮ এর ডামি নির্বাচনের স্বীকৃতি দানকারী দল হলো বিএনপি।

‘এখন তারা পাগলের মত আবোল তাবোল বলে উদুর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে’ উল্লেখ করে তারা বলেন, অর্থাৎ নিজেদের দোষ আড়াল করার হীন চেষ্টা করছে। পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার পাঁয়তারা করছে।

তারা বলেন, জাতীয় চাঁদাবাজরা মিথ্যা ছাড়া কিছু বলতে পারে না। মিথ্যা কথা বলাই এ্যানি চৌধুরীরদের পুঁজি! যা বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। আমরা তার মিথ্যা কথা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।

তারা আরও বলেন, মূলত ৫ আগস্টের পর ইসলামপন্থিদের ঐক্য এবং এক বাক্সে ভোটের প্রক্রিয়াকে বিএনপি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে বিএনপির জন্য একমাত্র বাধা ‘ইসলামী জোট’।

এতে তাদের ভরাডুবি জেনে তারা ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেইমান তো তারা- যারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে।

আজ দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেন এ্যানি। তিনি বলেন, ১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল।

২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এই পাখা মার্কা ছিল বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত।

তিনি আরও বলেন, তারা আজকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছে, ১৭ বছর আমরা যখন লড়াই করেছি সংগ্রাম করেছি, তখন তো আমরা এ পাখা মার্কাকে পাইনি। আজকে ইসলামি দলগুলো থ্রেট দেখায়, মিছিল করেন, মিটিং করেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান, নির্বাচনি পরিবেশকে বিঘ্নিত করেন। এ পরিবেশ থেকে বাহির হতে হলে ঐক্যই হলো শুক্তি। সুদৃঢ় ঐক্য যেটা জিয়াউর রহমান বারবার বলার চেষ্টা করেছেন, ইস্পাত কঠিন ঐক্য দৃঢ় ঐক্য। এ ঐক্য জিয়াউর রহমানের ডুপ্লিকেট তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে