এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিপুল পরিমাণ মজুত আলু নিয়ে বিপাকে বগুড়ার আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আশানুরূপ দর না থাকায় উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে আলু বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েশন বলছে, প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার লোকসানের শঙ্কায় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। লোকসান কমাতে শিগগিরি ব্যবস্থা না নিলে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হবেন অনেকেই।
ঢাকায় আলুর দাম প্রতি কেজি ২০ টাকার নিচে। অথচ, এক মাস আগেও দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫ টাকা।
সাধারণত হিমাগারগুলোতে আলু ডিসেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়। পরে নতুন আলু তোলা হয় হিমাগারে। এদিকে, নতুন আলু বাজারে ওঠতে আর বাকি দুই মাস। কিন্তু এখনো ৫০ শতাংশেরও বেশি আলু পড়ে আছে হিমাগারগুলোতে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে আলুর মজুত ছিলো প্রায় ২৪ লাখ টন।
হিমাগারগুলোতে বাড়তি মজুত থাকায় কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেনা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। দাম না থাকায় উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে আলু বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বগুড়ার একটি কোল্ড স্টোরেজের একজন কর্মী বলেন, ‘এখানে ১২ হাজার ৬০০ বস্তা আলু রেখেছে। প্রায় ২ কোটি টাকা এর দাম। বিক্রি করে সব বাদে মাত্র লাখ ছয়েক টাকা উনি পাবেন। রোমানা আলুতে ৬০০ টাকা আর স্টিক আলুকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত লস।’
দাম বাড়ার আশায় হিমাগারে অতিরিক্ত সময় আলু মজুত করায় দর পড়েছে। বর্তমানে লোকসানের পরিমাণ অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কোল্ড ষ্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহত্তর বগুড়া কোল্ড স্টোর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘যদি ২৫ ভাগ শর্করা, মানে চালের পরিবর্তে আলু দেওয়া হতো তাহলে প্রচুর আলু সরকারেরই প্রয়োজন হতো। ব্যবসায়ীরা কমই রেখেছে, কৃষকরাই আলু রেখেছে বেশি। কৃষকদের বোঝানো উচিত যে, এক ফসল এতো বেশি করলে অন্য ফসলের ঘাটতি হবে।’
টিসিবির তথ্যানুযায়ী, গত বছর এই সময় প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দাম কমেছে প্রায় ৬১ শতাংশ।