এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বেতন দশ বছর পর গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন স্কেলের সুপারিশ জমা দেবে কমিশন।
নতুন বেতন কমিশন ইতোমধ্যে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতির কাছ থেকে প্রস্তাব ও মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এসব মতামত গ্রহণ করা হবে। পরবর্তীতে কমিশন বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় করবে।
কমিশনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বলেন, “১০ বছর পর কমিশন গঠিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়েছে। তাই বেতন কাঠামো নির্ধারণে মূল্যস্ফীতিকে বড়ভাবে বিবেচনা করা হবে, যেন মানুষ সুপারিশ দেখে খুশি হয়।”
নতুন স্কেলে ১ম থেকে ২০তম গ্রেড ভেঙে পুনর্বিন্যাস করার চিন্তা করছে কমিশন। সূত্রমতে, বর্তমান মূল বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। এমন হলে ১ম গ্রেডে সর্বোচ্চ মূল বেতন হবে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, আর ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন হবে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন শুরু হতে পারে ৪৪ হাজার টাকা থেকে, যা বর্তমানে ২২ হাজার টাকা।
এছাড়া কমিশন বেতন অনুপাত (সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ) নিয়ে ১২:১, ১০:১ এবং ৮:১ আলোচনাগুলোকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে ১১–২০ গ্রেড পুনর্বিন্যাস করে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ স্কেল প্রস্তাবের চিন্তা রয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, “নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু থেকেই (জানুয়ারি–এপ্রিলের মধ্যে) কার্যকর হতে পারে। এ জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে, পরবর্তী সরকারের জন্য অপেক্ষা করা হবে না।”
প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। বর্তমানে ভারতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ১৩:১, পাকিস্তানে ৯:১, আফগানিস্তানে ২০:১ এবং ভুটানে ৮:১। আলোচনায় রয়েছে—বাংলাদেশের নতুন কাঠামোতে ভারতীয় মডেল অনুসরণের সম্ভাবনাও।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ জাতীয় পে স্কেল ঘোষণা করা হয় ২০১৫ সালে। তখন ১ম গ্রেডে মূল বেতন ১৯৫ শতাংশ এবং ২০তম গ্রেডে ২০১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।- ডেইলি ক্যাম্পাস