বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:১০:১৮

‘বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না’—ইনুকে সাহস জোগালেন দীপু মনি

‘বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না’—ইনুকে সাহস জোগালেন দীপু মনি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না। আমার মামলা ট্রাইব্যুনাল-২ এ নিয়ে গেছে।’ —সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর এমন কথায় সাহস জোগালেন সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বললেন, ‘চিন্তা করবেন না ভাই। আল্লাহ ভরসা। বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না।’

দু’জনের কথার মধ্যে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলে ওঠেন ‘এভাবে ওঠানো-নামানোর নাটক কবে শেষ হবে এদের।’

বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর কাঠগড়ায় সাবেক এই দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীদের মধ্যে এমন কথা হয়। এদিন সকালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। 

কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় আনার পর সবাইকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা সোয়া ১১টার পর একে একে তাদের এজলাসকক্ষে নেন পুলিশ সদস্যরা। এর মধ্যেই একজনের সঙ্গে আরেকজনের আলাপ করতে দেখা যায়। 

ট্রাইব্যুনালের কাঁচঘেরা কাঠগড়ার ঠিক সামনের সারিতে চেয়ারে বসেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার পাশে বসেন আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তবে মাঝের সারিতে ডা. দীপু মনি বসলেও ঠিক পেছনে বসেন ইনু। জাসদের এই সভাপতির পাশে ছিলেন কামাল মজুমদার।

কিছুক্ষণ পর মামলার নতুন তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় ফের তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। এসব মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও প্রায় দুই মাস সময় পেয়েছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

এদিন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। দুপুরের দিকে তাদের ফের কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
 
এর আগে, ২০ জুলাই এ মামলায় তদন্তে আরও তিন মাস সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। পরে আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় সময় চাইলে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে, আজ সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। প্রায় সবাইকেই তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে