এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরলে সেটি সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা- এ প্রশ্ন রেখেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এই প্রশ্ন রাখেন।
এদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর চেয়ে আপিল বিভাগে শুনানি করেন বদিউল আলম মজুমদারের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
শুনানিতে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, হাইকোর্ট থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত মোট ১২ জন বিচারপতি এ মামলাটি শুনেছেন। কিন্তু এরমধ্যে আটজনই তা রাখার পক্ষে মত দেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকসহ ৪ জন তা বাতিল করতে বলেন।
পরে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আপিল বিভাগ একটি গাইডলাইন করে দিতে পারে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন— তত্ত্বাবধায়ক মামলার আপিল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো মামলার আপিল শুনানি হবে না। এটাই এখন সবচেয়ে বড় মামলা।
এর আগে ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের প্রথম দিনের শুনানি হয়। গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আপিল করেন ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।