এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : “আমি বিএনপি করে শ. ম. রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি, এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এ যাবত কাজ করেছি।” সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
পাঁচ বছর পূর্বে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আবারও আলোচনায় আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তার ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তারা এখনো ভুগছেন সেই ঘরপোড়া মামলায়। তবে মামলার এক নম্বর সাক্ষী আলিম মিয়া বলেন, “আমি কাউকে আগুন দিতে দেখিনি। কাঠ কেটে ফেরার পথে সোহাগ মৃধার দোকানে আগুন জ্বলতে দেখি।”
সোহাগ মৃধার চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, “ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।”
বলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মহাব্বাত হোসেন বলেন, “সোহাগ মূলত সুবিধাবাদী মানুষ। যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সে তার প্রভাব দেখায়। আওয়ামী লীগের আমলে সে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করত। নিজের চাচা ও ভাইয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, “শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কীভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।”
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, “আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না— যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।"